আজ আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করছি মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে
।মিষ্টি কুমড়ার বিচি খাওয়ার উপকারিতা ,মিষ্টি কুমড়া বিচি খাওয়ার কিছু
অপকারিতা,প্রতিদিন কতটুকু কুমড়ার বীজ খাওয়া উচিত, মিষ্টি কুমড়ার বিচির
খেলে কি অ্যালার্জি হয়, মিষ্টি কুমড়ার বীজের দাম, গর্ভাবস্থায় মিষ্টি
কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা, মিষ্টি কুমড়ার বীজ কতদিন খাওয়া উচিত। ইত্যাদি ছাড়াও
মিষ্টি কুমড়ার সম্পর্কে আরো বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরছি।
আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অনেক বেশি উপকৃত হবেন মিষ্টি কুমড়ার বিচি
কতটা উপকারী ও পুষ্টিকরণে ভরপুর খাবার হয়তো আমরা সঠিক ধারণা না থাকলেও
সামান্য ধারণা আমাদের সকলের মাঝে রয়েছে। মিষ্টি কুমড়া এমন এক ধরনের খাবার যা
বিভিন্ন ফল ,বাদামের তুলনায় এমন কিছু পুষ্ট উপাদান রয়েছে । যা এগুলো খাবারের
তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রয়েছে।তাই আশা করি মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও
অপকারিতা ছাড়াও পোস্টটি সম্পন্ন পরবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
মিষ্টি কুমড়ার বিচি যে কোন মুদি দোকানে তাদের কাঁচা , অঙ্কুরিত আকারে
পাওয়া যাবে, যা কুমড়োর বীজ খাওয়া সর্বোত্তম উপায়। কুমড়োর বীজে পুষ্টিগুণ
বেশি এবং এটি ভিটামিন, এমনকি খনিজ ,প্রোটিন এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি
এসিডের সমৃদ্ধ উৎস। কুমড়োর বীজের সুবিধার যেমন রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যের
অবস্থায় ঝুঁকি যেমন ক্যান্সার। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা
সেগুলি খাওয়ার পরে লোকেরা পূর্ণতা অনুভব করে এবং অতিরিক্ত খাবার তাগিদকে দমন
করা অতিরিক্ত খাবার রোধ করে।
কুমড়োর বীজ সরাসরি খাদ্যের সংযোজন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। যা খাওয়ার আগে
রোস্ট করা যেতে পারে ।এগুলি নিজেরাই স্নাক্স খাওয়া যেতে পারে বা অনেকগুলো রেসিপি
এবং খাবারের যোগ করা যেতে পারে। কুমড়ার বীজ ভাজা অনেক উপকারিতা আছে যা ব্যবহার
করে খাবারের সাজিয়ে বা স্ন্যাক্স করার জন্য টোস্ট করে উপভোগ করা
যায়। যাইহোক কুমড়োর বীজ বেশি খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যখন স্বাস্থ্যকর
ওজন পরিচালনার জন্য সেগুলো খাওয়া হয় ।প্রতিদিন কুমড়োর বীজ খাওয়ার অনেক
সম্ভাব্য উপকারিতা রয়ে।
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা খাদ্যের একটি অপরিহার্য
উপাদান যা রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।কুমড়োর বীজ রক্তের শর্করার
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
ভাল। যার ফলে অবস্তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
মিষ্টি কুমড়ার বিচি তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকারক দিক নেই তবে
আমাদের শরীরের জন্য সকল খাবারই যদি তা অতিরিক্ত পরিমাণে বা মাত্রা অতিরিক্ত বা
সঠিক নিয়মে গ্রহণ না করা হয় তাহলে তা আমাদের শরীর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা
ক্ষতিকারক হিসেবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে ।সে খাবারটি যতই ভালো বা পুষ্টিগুলো
ভরপুর হোক না কেন।
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা
কুমড়োর বীজ হলো ভোজ্য বীজ। যা তাদের উচ্চ পুষ্টির মূল্যের জন্য বহু শতাব্দী ধরে
পরিচিত। কুমড়া গাছের এই সমতল এবং সাদা বীজ গুলি
সঠিকভাবে পাওয়ার হাউজ হিসেবে পরিচিতি পুষ্টি ।যখন একটি কুমড়ার বীজ
থেকে বাইরে সাদা আবরণ ছড়ানো হয় তখন হালকা সব উদ্ভিদ পাওয়া যায় যা চোখের
মত আকৃতির, কিন্তু আকৃতিতে চ্যাপ্টা। কুমড়োর বীজে রয়েছে ভিটামিন ই এবং জিক্স,
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য পুষ্টির একটি ভাল উৎস ভিটামিন ই রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি
শরীরের কোষে ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য পরিচিত।
কুমড়োর বীজে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম মজবুত হাড়ের জন্য ভালো এবং বৃদ্ধির জন্য
অত্যাবশক। কুমড়োর বীজ প্রচুর পরিমাণে খনিজ সরবরাহ করে যা হারের ঘনত্ব এবং শক্তি
উন্নত করতে সাহায্য করে...এইভাবে এটি সহজে হাড়ের ফ্যাকচার এবং অবস্থা প্রতিরোধ
করতে সাহায্য করতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি ক্যালসিয়ামের ঘাটতির সাথে যুক্ত
হয়েছে।
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার সাথে সাথে আমাদের
প্রতিদিন কতটুকু কুমড়ার বিচি খাওয়া উচিত তা সম্পর্কে ও সঠিক ধারণা থাকা
উচিত ।কারণ এর পরিমাণ জেনেই আমরা এর সঠিক উপকারিতা টা পাব তা নাহলে উপকারিতা
চেয়ে অপকারিতা টাই বেশি হবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য নিয়মিত ৩০ গ্রাম
বা ১৫ থেকে ২০ টি মিষ্টি কুমড়ার বিচি খাওয়া উচিত
মিষ্টি কুমড়া যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তেমনি এর বিচিও অনেক
পুষ্টিগুণে ভিটামিন সমৃদ্ধে ভরপুর মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
আযছিতে, ম্যাগনেসিয়াম ,ক্যালসিয়া্ম, প্রোটিন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি
ইত্যাদি তবে মিষ্টি কুমড়া বীজির উপকারিতা অপকারিতা থাকায় মিষ্টি কুমড়ার বিচি
খেতে হবে সঠিক পরিমাণে তাই সুস্থ থাকতে ও শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রেহাই
পেতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেতে পারেন ।তবে 15 থেকে 20 টি
বেশি খাওয়া উচিত নয় মিষ্টি কুমড়া বেঁচে খেলে শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য
করে এছাড়া শরীরের সুস্থ ও চাঙ্গা করে তুলে নিমিষে তাই আপনাদের জানাবো
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয় তা নিচে দেওয়া হল।
মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এই উপাদানটি
আমাদের শরীরের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা
থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে মিষ্টি কুমড়ার বিধি
মিষ্টি কুমড়ার বিচি ভিটামিন ই রয়েছে। তাই এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ে
মিষ্টি কুমার বিচিতে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এই উপাদানটি
ক্ষতিকর কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে ভালো কোলেস্টরেলের
মাত্রা বৃদ্ধি করে।
মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে ম্যাগনেসিয়াম থাকাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে
এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম স্ট্রেট দূর করে যার ফলে আমাদের মন সুস্থ সবল রাখতে
সাহায্য করে ।
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে এছাড়া ত্বকের
বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং চুলকে ঝলমলে করে তোলে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ একটি পুষ্টিকর ও সার্থকগত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি
অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আজকের আলোচ্য বিষয় মিষ্টি কুমড়ার বিচি
উপকারিতা অপকারিতা। তবে আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা মিষ্টি কুমড়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানব। মিষ্টি কুমড়ার
বিচি তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকারক দিক নেই তবে আমাদের শরীরের
জন্য সকল খাবারে কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে । তাই আজকে আপনাদের জানানোর
চেষ্টা করব মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ।
সঠিক পরিমাণে বা সঠিক পদ্ধতিতে না খেলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যাওয়া
সম্ভাবনা থাকে
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে বা মাত্রা অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে
সন্তানের জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি হওয়া সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়
যে সকল ব্যক্তির এলার্জি সংসার রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে অ্যালার্জি
সমস্যা বেড়ে যেতে পারে ফলে চুলকানি সমস্যা দেখা দিতে পারে
অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার কারণে অনেকের গলা ব্যথা কাশি হতে পারে
যেহেতু মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে অত্যাধিক পরিমাণে ফাইবার ও ফ্যাটি এসিড রয়েছে
ফলে বাচ্চারা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া বা পেটের ব্যাথা সমস্যা সৃষ্টি
হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বিচি অনেক উপকারী হলেও নিম্নচাপ
রোগীদের জন্য এটি তেমন বেশি উপকারে আসে না কারণ এটি অক্সিডেন্ট রয়েছে
মিষ্টি কুমড়ার বিচি উপকারিতা অপকারিতা ছাড়া মিষ্টি কুমড়ার নীতি সম্পর্কে আরও
বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি বিশেষ অনুরোধ রইলো ।
আজ আমি আপনাদের মাঝে মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা
করেছি কিন্তু, অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে বিশেষ করে যাদের এলার্জি রয়েছে মিষ্টি
কুমড়া বিচি খেলে যদি অ্যালার্জি হয়। মিষ্টি কুমড়া খেলে এলার্জি হওয়ার
সম্ভাবনা খুবই কম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যাদের অল্প পরিমাণে এলার্জি রয়েছে তাদের
এলার্জি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং যাদের অনেক বেশি এলার্জি বা অতিরিক্ত
পরিমাণে যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের সম্ভাবনা অনেক বেশি কিন্তু যদি আপনি
খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন
কারণ এলার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অনেক সময় চুলকানি ফুসকুড়ি বমি ভাব মাথা
ঘোরা আবার কখনো কখনো নেসতেজ হওয়ার সম্ভভনা থেকে যায়। তাই অবশ্যই সতর্ক
অনুসারে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেতে হবে। মিষ্টি কুমড়া
খেলে এনার্জির প্রতিক্রিয়া খুবই কম দেখা দেয় তবে এই ঘাটতি হতে পারে মিষ্টি
কুমড়া সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য খাওয়া নিরাপদ মনে করা হয় এবং এটি
পুষ্টিকর খাবার যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী তবে অনেকেরই মিষ্টি কুমড়া
খেলে এলার্জি হয় আর এলার্জি হলে যেসব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করবে সেসব
লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে
ত্বকে ফুসকুড়ি রাশ হওয়া
মুখে চুলকানি।
ঠোঁট মুখ বা জিব্বা ফুলে যাওয়া।
বমি বমি ভাব হাওয়া ।
ডায়রিয়া হওয়া ।
শ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
মিষ্টি কুমড়ার বিচির দাম
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনি যদি মিষ্টি
কুমড়ার বীজ খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি কুমড়ো বিচি দাম সম্পর্কে সঠিক
ধারণা থাকতে হবে মিষ্টি কুমড়ার দাম বাংলাদেশের উৎপাদনের উপর নির্ভর করে
কমবেশি হয় তবে আনুমানিক ২৫০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া বীজের দাম ৩২৫ টাকা থেকে ৩৫০
টাকা হয়ে থাকে মধ্যে অন্যতম একটি মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অনেক উপকারিতা অনেক
কিন্তু আমরা খাওয়ার অযোগ্য বলে তা ফেলে দেই পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি কুমড়ার বীজ
হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উৎস।
তবে মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তাই মিষ্টি
কুমড়ার বিচি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় ১৫ থেকে ২০ মতো বীজ খেতে পারলে সবচেয়ে
ভালো উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। মিষ্টি কুমড়ার বীজ উদ্ভিদ ও প্রোটিনের একটি ভালো
উৎস ।
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি উপকার হয়
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার হয় ।বর্তমানে ৩০ বছর বয়স
থেকে মানুষের বিভিন্ন ধরনের হাড়ের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমনঃ বিভিন্ন স্থানে হার
ক্ষয়, কোমর ও মাজা ব্যথ্ হাড়ে শুক্ষ ফাটল, ইত্যাদি আর এ সকল সমস্যাগুলো মূলত
হয়ে থাকে শরীরে জিংক ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর অভাবে বর্তমানে
ভেজাল যুক্ত খাবারের কারণে আমাদের শরীরে এই সকল পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবারের
অভাব থেকেই যায় এ সকল পুষ্টি উপাদানের অভাব মেটাতে পারেন খুব সহজে ।
আমাদের শরীরে যদি হাট সুস্থ রাখার জন্য খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় তাহলে
ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর মতো পুষ্টি উপাদান নিয়মিত প্রবেশ করে তাহলে
আমাদের শরীর এমনিতে অনেক বেশি সুস্থ থাকবে। আর এই হার্ট সুস্থ রাখার জন্য এবং মন
খারাপ কলেস্টরের মাত্র কমে ভালো কোলেস্টেরলের মাথা বাড়াতে পারে যে উপাদান গুলো
সেগুলো হল মানুস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আর সমৃদ্ধ খাবার। ভালো ফ্যাট যুক্ত
খাবার ও আন্টি অক্সিডেন্ট এ আর এ সকল পুষ্টি উপাদানে একত্রে একটি খাবারের
পেতেহলে আপনি নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বিচিখেতে পারেন কারণে এতে রয়েছে
অত্যাধিক এ সকল পুষ্টি উপাদান এছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম খুব সহজে আমাদের
শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে যার কারণে আমাদের হার্ট আরো বেশি সুস্থ
থাকতে সহায়তা করে ।
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা হতে পারে ।কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ
ব্যক্তিদের জন্য এটি উপযুক্ত নাও হতে পারে ।গর্ভবতী মেয়েদের খাদ্য গ্রহণ সর্বদা
স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়া উচিত । তাই গর্ভাবস্থায়
মিষ্টি কুমড়া রাখতে পারেন আপনার খাদ্যের তালিকায়। তবে মিষ্টি কুমড়া বা মিষ্টি
কুমড়ার বিচি উপকারিতা ও অপকারিতা থাকার মিষ্টি কুমড়া খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। যে
কোন জিনিস অতিরিক্ত হওয়া উচিত ন নয় তেমনি মিষ্টি কুমড়া অতিরিক্ত খেলে শরীরে
উপকারী থেকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে আর গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের
সবচেয়ে বেশি সতর্কতার সাথে খাবার খেতে হয় তবে মিষ্টি কুমড়া গর্ভাবস্থায় খেলে
উপকার পাবেন ।
পুষ্টির চাহিদা মেটাবে , মিষ্টি কুমড়াই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,
মিনারেল্স এবং ফাইবার । এছাড়াও এতে ক্যালরি এবং ফাইবার বেশি
তাই এটি সহজেই পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে এবং পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে
।গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ যার মাধ্যমে তারা
স্বাস্থ্য ও শিশুর উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে ।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ কতদিন খাওয়া উচিত
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা জানা যেমন জরুরী তেমনি
কুমড়ার বীজ কতদিন খাওয়া উচিত এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা ধারণা থাকা অত্যন্ত
জরুরী। আপনি যদি মনে করেন যেহেতু উপরে আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি মিষ্টি
কুমড়া বীজির কতগুলো উপকারিতা রয়েছে এভাবে যদি আপনি বহু বছর ধরে অন্য কোন ফলের
বীজ খান তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে ।
যেহেতু এটি একটি বীজ অর্থাৎ ঔষধি গুন সম্পন্ন খাবারের জন্য আপনি যদি কোন রোগের
জন্য খান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন ।এছাড়া আপনি যদি
শরীর সুস্থ থাকার জন্য খেতে চান তাহলে মাঝে মাঝে খেতে পারেন তবে একেবারে টানা তিন
মাস খাবেন না মাঝে মাঝে খাবেন । এতে এর সঠিক উপকারিতা পাবেন এবং অবশ্যই এই
পরিমাপটা ঠিক রেখে খাবেন ।
শেষ কথাঃ মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক , ইতি পূর্বে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি যে ,মিষ্টি
কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা অনেক রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য
খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় , ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে , ভালো ঘুম হয় , হাত ভালো
থাকে ,ওজন কমানো যায় ,হাড় মজবুত থাকে। এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকি
কমে যায় চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ।আর যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি
কুমড়া খেয়ে ফেলেন তাহলে অ্যালার্জি হতে পারে । তাই মিষ্টি কুমড়ার বিচি
১৫ থেকে ২০ টি খাওয়া উচতি।
আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে
শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url